বেড়ানোর কথা বলে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, আটক ১
প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০১৮, ২৩:৩১
বেড়ানোর কথা বলে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে এক অটোরিকশাচালক (২৭) নির্জন স্থানে নিয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৭ মার্চ (মঙ্গলবার) এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণে সহায়তা করার অভিযোগে এলাকাবাসী রুবেল মিয়া (২২) নামের এক তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এ ঘটনায় ২৮ মার্চ (বুধবার) দুপুরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে জুড়ী থানায় মামলা করেছে।
এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর বাবা পেশায় দিনমজুর। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার কিছুদিন আগে সে পাশের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে খালার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তখন সেখানকার অফিস বাজার এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশার চালক জুয়েল মিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে জুয়েল তার সহযোগী রুবেলকে নিয়ে অটোরিকশায় করে ওই ছাত্রীর বাড়ির কাছে যায়। এ সময় জুয়েল মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ওই ছাত্রীকে বাড়ির সামনের সড়কে আসতে বলে। ছাত্রীটি আসার পর জুয়েল বেড়ানোর কথা বলে তাকে গাড়িতে তুলে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাছে পৌঁছালে ওই ছাত্রী বিপদ বুঝতে পেরে কান্নাকাটি শুরু করে। পরে জুয়েল তার মুখ চেপে ধরে বনের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এদিকে ঐ ছাত্রীকে গাড়িতে উঠতে দেখে স্থানীয় এক মুদি দোকানির সন্দেহ হলে তিনি স্থানীয় কয়েকজন লোককে নিয়ে দুটি অটোরিকশায় করে জুয়েলের গাড়ির পিছু নেন।
পরে সংরক্ষিত বনের কাছে পৌঁছে তারা ধাওয়া করে জুয়েল এর সহযোগী রুবেলকে অটোরিকশাসহ আটক করেন। পরে রুবেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বনের ভেতরে অসুস্থ অবস্থায় ছাত্রীকে পড়ে থাকতে দেখে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু জুয়েল টের পেয়ে আগেই পালিয়ে যায়।
এরপর ওই ছাত্রীকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা গাড়িসহ রুবেল এবং ওই ছাত্রীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
পরে বুধবার ওই ছাত্রী জুয়েল ও রুবেলকে আসামি করে মামলা করেন।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, প্রধান আসামি জুয়েলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।