যথাযথ মর্যাদায় ৪৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০১৮, ২২:৪৬ | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৮, ২২:৫৩
মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে জাতি ২৬ মার্চ (সোমবার) ৪৮তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করছে।
বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন এবারের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বিশেষ মাত্রা যোগ হয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
জাতীয় পর্যায়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসের শুরুতে ২৬ মার্চ ভোরে একত্রিশ বার তোপধ্বনির করা হয়।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর একে একে বিভিন্ন দল, গোষ্ঠী ও সামাজিক সংগঠনসহ ব্যক্তি পর্যায়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে প্রাণের স্মৃতিসৌধ।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমীসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকেট প্রকাশ, হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রমসহ এ ধরনের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয় এবং সরকারি ও বেসরকারি বেতার ও টিভি চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারিত হচ্ছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহ রাতে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।