‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার আহবান’
প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০১৮, ১৬:৫৭
৪৩ বছর পর বিশ্ব মানচিত্রে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের সারিতে উঠার এই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৫ মার্চ (রবিবার) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পদক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহবান জানান।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের তিনটি শর্তের মধ্যে দু’টি শর্ত পূরণ হলেই উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম উঠে একটি দেশের। সেখানে ৩ টি শর্তই বড় ব্যবধানে পূরণ করতে পেরে একটি সম্মানজনক অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে ৪৩ বছর লেগেছে একটি অবস্থান থেকে অন্য একটি অবস্থানে উঠে আসতে। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় এ সম্মান অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতা পদক পুরস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই পদক পুরস্কার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে আরও উদ্বুদ্ধ হবে। দেশকে তারা আরও ভালোবাসতে পারবে। অনুষ্ঠানে ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সম্মাননা পান- শহীদ বুদ্ধিজীবী এম এম এ রাশীদুল হাসান, প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরী, এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ বীরউত্তম, প্রয়াত কাজী জাকির হাসান, প্রয়াত এম আব্দুর রহিম, প্রয়াত ভূপতি ভূষণ চৌধুরী ওরফে মানিক চৌধুরী, শহীদ লেফটেন্যান্ট মো. আনোয়ারুল আজিম, প্রয়াত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, শহীদ আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, শহীদ মতিউর রহমান মল্লিক, শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক ও আমজাদুল হক।
এ ছাড়াও চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. এ কে এমডি আহসান আলী,সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, কৃষি সাংবাদিকতায় চ্যানেল আইয়ের পরিচালক (বার্তা) শাইখ সিরাজ,সমাজসেবায় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, সাহিত্যে সেলিনা হোসেন এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ড. মো. আব্দুল মজিদকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা। স্বাধীনতা পদকের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, তিন লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ পদক প্রদান করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।