জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ক্যাপ্টেন আবিদের স্ত্রী
প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০১৮, ১৪:১৬
নেপালে কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের নিহত পাইলট আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা খানম এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
আফসানার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও ওই হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম। তার চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ২০ মার্চ (মঙ্গলবার) একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ১৮ মার্চ (রোববার) বিকালে ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক সিরাজী শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, উনার অবস্থা খুবই নাজুক ছিল। ১৮ মার্চ (রোববার) সকালে অপারেশনের পরও উনার অবস্থা খারাপের দিকে ছিল। আমরা উন্নতির আশা করেছিলাম, কিন্তু অবনতি হয়েছে। লাইফসাপোর্টে রাখার পরও আফসানার উন্নতির তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি বলে জানান তিনি।
আবিদের ভাই মাহমুদ খুরশিদও একজন চিকিৎসক। গত ১২ মার্চ দুর্ঘটনার পর তিনি নেপাল গিয়েছিলেন। আবিদসহ ২৩ জনের লাশের পাশাপাশি ১৮ মার্চ (সোমবার) তিনি ফিরে আসেন দেশে।
দেশে আনার পর আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা ও লাশ হস্তান্তর করা হয়। মাকে হাসপাতালে রেখে বাবার লাশ আনতে গিয়েছিলেন আবিদ-আফসানার একমাত্র ছেলে তানজিদ সুলতান।
৭১ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ১২ মার্চ দুপুরে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার ড্যাশ উড়োজাহাজটি। এতে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি।
দুর্ঘটনার পর ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ক্যাপ্টেন আবিদ আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। কিন্তু পরদিন সকালে ইউএস-বাংলার কর্মকর্তা কামরুল নেপালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যাপ্টেন আবিদের মৃত্যুর খবর দেন।
আবিদের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানান, দুর্ঘটনার খবর শুনে আফসানা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। পরে বেঁচে আছেন জেনে একটু স্বাভাবিক হন।
কিন্তু পরদিন যখন জানতে পারলেন উনি মারা গেছেন, তারপর থেকে তিনি একেবারেই ভেঙে পড়েন। আসলে এত বড় শোক সহ্য করতে পারেননি।