৭ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর ১৯ মার্চ
প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০১৮, ০২:১৫
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশীর মধ্যে শনাক্ত হওয়া ১৭ বাংলাদেশির মরদেহ ১৯ মার্চ (সোমবার) সকাল ১১টায় আসবে ঢাকায়। বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে মরদেহগুলো আনা হবে।
শনাক্ত হওয়া ১৭ বাংলাদেশির মরদেহ ১৯ মার্চ (সোমবার) নাগাদ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
১৮ মার্চ (রবিবার) আরো ৪ জনের মরদেহ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হয়েছে। নেপালের ফরেনসিক বিভাগের কাছে নিহতদের স্বজনদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহগুলো শনাক্ত করা হয়। এছাড়া আঙুলের ছাপ মিলিয়ে বাকি ৫ বাংলাদেশীর মরদেহ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।
দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯ জনের মধ্যে ৩৭ জনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন বলেন, আমরা সব আহতদের দেখেছি। তাদের জন্য প্রস্তুতি রেখেছি যেন তারা আসলে তাদের সেবা দেয়া যায়। আমরা আশা করি তাদের সেবায় কোনো অসুবিধা হবে না। এছাড়া এই সকল আহত যাত্রীদের চিকিৎসার খরচ বহন করছে হাসপাতাল। তাই তাদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে কোন সমস্যা হবে না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুরো দেশবাসীকে বলতে চাই, যারা এখানে এসেছেন তাদের যতটুকু দরকার ছিল, ততটুকু যত্ন করে আহতদের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন থেকে স্থিতিশীল অবস্থার দিকে নেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে তারা সব কিছু কাটিয়ে উঠতে পারবে।
শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হলো- বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
বিমান দুর্ঘটনার কারণ জানতে বাংলাদেশ এবং নেপাল যৌথভাবে তদন্ত করছে। ইউএস বাংলার বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে কারিগরি কোন ত্রুটি ছিলো না বলে জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশনের তদন্ত কমিটির প্রধান ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ।