প্রেমে রাজি না হওয়ায় ছাত্রকে এসিড নিক্ষেপ ছাত্রীর
প্রকাশ | ১৭ মার্চ ২০১৮, ১৭:৫৪
জামালপুর পৌরসভার রশিদপুর গ্রামে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রকে এসিড মেরেছে এক ছাত্রী। এসিড হামলার শিকার ছাত্রের নাম মাহমুদুল হাসান মারুফ (১৭)।
১৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাতে এ এসিড হামলার ঘটনা ঘটে। ১৬ মার্চ (শুক্রবার) তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ওই ছাত্রী ভাবনা আক্তার রিয়া ও তার মা হাসি বেগম সুজেদাকে আটক করেছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রশিদপুর গ্রামের আহত মাহমুদুল হাসান মারুফ জামালপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইলেকট্রনিকস টেকনোলজির প্রথম বর্ষের ছাত্র। একই গ্রামের বাসিন্দা ও ঝাউগড়া বঙ্গবন্ধু কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ভাবনা আক্তার রিয়া মাহমুদুল হাসান মারুফকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু মারুফ তাতে সাড়া দেয়নি।
১৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারুফ তার বন্ধু সাইফুলকে নিয়ে রিয়ার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় রিয়া মারুফকে বাড়ির ভেতরে বৈদ্যুতিক লাইনের ত্রুটি ঠিক করে দিতে বলে। মারুফ দিনের বেলা এসে ঠিক করে দেবে বলে চলে যাচ্ছিল। এ সময় আকস্মিক মারুফের মুখে এসিড ছুড়ে মারে রিয়া।
এসিডে মারুফের দুই চোখ ছাড়া মুখমণ্ডলের বেশির ভাগ ঝলসে গেছে। তার ডান কাঁধেও সামান্য দগ্ধ হয়েছে। গতকাল তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
জামালপুর সদর থানা পুলিশ ১৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে রিয়া ও তার মা হাসি বেগম সুজেদাকে রশিদপুরের বাড়ি থেকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মারুফের বাবা দুদু মিয়া বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
কলেজছাত্রী রিয়া বলেন, আমি মারুফকে চিনি না। ওর সাথে আমার কোনো সম্পর্কও নেই। যে সময়ের কথা বলছে আমি আর আমার মা তখন বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমি তাকে এসিড মারিনি। তারা মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের ফাঁসাচ্ছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. শফিকুজ্জামান বলেন, ভিকটিম এসিড দ্বারাই আক্রান্ত হয়েছে। এখানে এই ধরনের রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় মারুফকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. নাছিমুল ইসলাম বলেন, মারুফ নামে এক যুবক এসিড নির্যাতনের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে।