ঢাকায় ফিরেছেন আহত শাহরিন, ভুগছেন ট্রমায়
প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০১৮, ১৯:৪৬ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৮, ২০:০০
নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত বাংলাদেশি ১০ জনের মধ্যে শাহরিন আহমেদকে আজ ১৫ মার্চ ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় ফিরেন। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিনিই প্রথম দেশে ফিরেছেন।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে প্রধান সমন্বয়কারী সামন্তলাল সেন বলেন, "বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মতো বড় একটি দুর্ঘটনার ধকল শাহরিনের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। তাই তিনি মেন্টালি ট্রমায় রয়েছেন। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তার শরীরের ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া ডান পায়ে আঘাত রয়েছে"।
ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে ৭ জনকে কাঠমান্ডু ছাড়ার অনাপত্তিপত্র দেয়া হয়েছে। অন্যরাও যেকোনও সময় কাঠমান্ডু ছাড়তে পারবেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়, মেহেদি হাসান, সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার অ্যানি তাদের স্বজনদের সাথে দেশে ফিরবেন। আর আহত অপর দুজন ইয়াকুব আলী ও ইমরান কবির হাসিকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হবে। নেপাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই তাদের সবার নামে অনাপত্তি পত্র দিয়েছে।
অন্যদিকে আহত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. রেজওয়ানুল হককে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী নিহত হয়েছেন।
এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩০টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কাঠমান্ডু পোস্ট। এক প্রতিবেদনে দৈনিকটি ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট প্রধান ড. প্রমোদ শ্রেষ্ঠাকে উদ্ধৃত করে বলছে, ৩০টি মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হলেও পরিচয় শনাক্ত করা গেছে মাত্র আটজনের। বাকি মরদেহ ঝলসে যাওয়ার কারণে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানান নেপালের এ চিকিৎসক।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যাত্রী ও পাইলটের টক্সিসিটি পরীক্ষা করা হচ্ছে এখন। যেকোনো বিমান দুর্ঘটনার পরে এই টক্সিলোজি পরীক্ষা করা হয়। এতে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা কোনো বিষক্রিয়ায় কিংবা কেউ জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন কি না। তবে এই পরীক্ষার প্রতিবেদন তৈরি করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।