রুয়েট শিক্ষিকার উন্নত চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
প্রকাশ | ১৪ মার্চ ২০১৮, ১৬:২৬ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৮, ১৬:৩৬
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিধ্বস্ত ইউএস বাংলার বিএস২১১ ফ্লাইটটির যাত্রী রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সহকারী অধ্যাপক ইমরানা কবির হাসির উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শুভাকাঙ্খীরা।
রুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন ‘রিওসা’ তাদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ৮ম ব্যাচের ছাত্রী হাসির উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। নেপালের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন রুয়েট শিক্ষিকা হাসি। ডাক্তারদের মতে, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত সিঙ্গাপুর/ভারত অথবা থাইল্যান্ড ট্রান্সফার করতে হবে। কিন্তু বিমানের আগুনে পুড়ে গেছে তার পাসপোর্ট। তবে তার পাসপোর্টের একটি ফটোকপি পাওয়া গেছে। ফটোকপি দিয়েই উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষপ কামনা করেন ‘রিওসা’ সংগঠন।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল পৌর এলাকার হাজেরা ঘাটের মেধাবী হাসি রুয়েটে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। সেখানে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে প্রভাষক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং পরে সহকারী অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। অপরদিকে, হাসির স্বামী রকিবুল ইসলাম রুয়েট থেকে পাস করে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছুটি কাটানোর জন্য নেপালের উদ্দেশ্যে হাসি-রকিবুল দম্পতি সোমবার ঢাকা ছেড়েছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় হাসির স্বামী প্রকৌশলী রকিবুল ইতিমধ্যে মারা গেছেন।
গত ১২ মার্চ (সোমবার) দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকা থেকে ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইটটি নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয়।
বিমানে ৬৭ জন যাত্রীদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ ও নারী ২৮ জন ছিলেন, শিশু ছিলেন দুইজন। এর মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক যাত্রী হিসেবে ছিলেন। এছাড়া ফ্লাইটটিতে দুইজন পাইলট ও দুইজন বিমানকর্মী ছিল। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ি, ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা ৫১।