বিএস২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্ত
বেঁচে আছেন বাংলাদেশের ১০ জন
প্রকাশ | ১৩ মার্চ ২০১৮, ১৮:২৫
বিধ্বস্ত ইউএস বাংলার বিএস২১১ ফ্লাইটটির পাইলট, কেবিন ক্রু ও যাত্রীসহ বাংলাদেশের ৩৬ আরোহীর মধ্যে বেঁচে আছেন ১০ জন। ১৩ মার্চ (মঙ্গলবার) বিকেলে ইউএস-বাংলার বারিধারার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জিএম কামরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।
১। শেখ রাশেদ রুবায়াত- কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
২। সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা- কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
৩। শাহরীন আহমেদ- কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
৪। আলমুন নাহার অ্যানি- কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
৫। মোহাম্মদ শাহীন ব্যাপারী- কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
৬। মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক- ওম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
৭। মেহেদি হাসান- কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
৮। এমরানা কবির হাসি- কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
৯। মোহাম্মদ কবির হোসেন- কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
১০। ইয়াকুব আলী- নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
এর আগে ১২ মার্চ (সোমবার) রাতে বাংলাদেশি যাত্রীদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করে কাঠমাণ্ডুতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস এর কর্মকর্তারা। বেঁচে থাকা ৯ জন যাত্রীদের সাথে দেখা করে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকে সেই তালিকার ছবি শেয়ার করেন। সেই তালিকায় ইয়াকুব আলী ব্যতীত বাকি সকলের নাম ছিল।
উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইটটি ১২ মার্চ (সোমবার) দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয়।
বিমানে ৬৭ জন যাত্রীদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ ও নারী ২৮ জন ছিলেন, শিশু ছিলেন দুইজন। এর মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক যাত্রী হিসেবে ছিলেন। এছাড়া ফ্লাইটটিতে দুইজন পাইলট ও দুইজন বিমানকর্মী ছিল। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুলিশের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ি, ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা ৫০।