স্কুলছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতনের পর সেপটিক ট্যাংকে নিক্ষেপ!
প্রকাশ | ১১ মার্চ ২০১৮, ২২:০৬
পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যার জন্য তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছেন স্কুলের দপ্তরি। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এই নির্মম ঘটনা ঘটে।
স্কুল চলাকালীন সময় ১১ মার্চ (রবিবার) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, কাটিরহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশাপাশি। তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রী রবিবার ঐ উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া তার ভাইকে ভুট্টা দিতে যায়। এ সময় তৃতীয় শ্রেণির আরেক ছাত্রীকে সঙ্গে দেন শ্রেণিশিক্ষক। ভাইয়ের কাছে নিয়ে যাবে বলে আপন নামের এক দপ্তরি ওই ছাত্রীকে দোতলায় নিয়ে যান।
পরে ঐ শিক্ষিকা দপ্তরিকে ফোন দিয়ে ছাত্রীর কথা জানতে চাইলে সে জানায় যে মেয়েটি বাড়িতে চলে গেছে। কিন্তু সে বাড়িতে না যাওয়ায় খবর পেয়ে বাবা ছুটে আসে। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকে গোঙানির শব্দ শোনা মেয়েটির বাবা ট্যাংকে নেমে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যার জন্যই ওই ছাত্রীকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়
বর্তমানে শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ করে। তারা ওই দপ্তরিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
কাঠিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি শিক্ষা মেলার দায়িত্বে ছিলাম। তাই আজ স্কুলে যাইনি। অন্য শিক্ষকরা আমাকে টেলিফোনে খবর দিলে আমি দ্রুত চমেক হাসপাতালে ছুটে আসি। মেয়েটির মাথায় আঘাত লেগেছে। তাকে চতুর্থ তলার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, বিকেলে কাটিরহাট থেকে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় আনা হয়েছে। মেয়েটিকে স্কুলের দপ্তরি নির্যাতনের পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছিল বলে স্বজনদের অভিযোগ।