মিরপুরে চিরনিদ্রায় শায়িত ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০১৮, ১৬:২০
মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে ।
৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় সমাহিত করা হয় নারীর অধিকার আদায়ের এই অনন্য সৈনিককে।
এর আগে সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর প্রিয়ভাষিণীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিতিতে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- মেয়ে ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী, রত্নেশ্বরী প্রিয়দর্শিনী,বড় ছেলে কারু তিতাস, ছোট ছেলে তূর্য্যসহ নিকট আত্মীয়-স্বজন ও বিপুলসংখ্যক গুণগ্রাহী। তার মেজো ছেলে কাজী মহম্মদ নাসের কানাডা প্রবাসী হওয়ায় উপস্থিত হতে পারেননি।
৬ মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুরে ৭১ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই মহীয়ষী নারী। তিনি দীর্ঘদিন যাবত কিডনি, ফুসফুসসহ কয়েকটি জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বলেছিলেন, "সকল বীরাঙ্গনা নারী জাতির পক্ষ থেকে বলব- যারা সে দিন নীরবে যুদ্ধ করেছেন, অত্যাচারের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ করেছেন, ধর্ষণের মধ্য দিয়ে, অসহায়ত্বের মধ্য নিয়ে যুদ্ধ করেছেন তাদেরকেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত দেওয়া উচিত"।