প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
‘ফোর জি দেশের জন্য এক বিরাট মাইলফলক’
প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২০:৫৯
‘ফোর জি’ যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ তথ্য প্রযুক্তিতে এক বিরাট মাইলফলক। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নতুন যুগে প্রবেশ করল-বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) গভর্নিং কাউন্সিলের ৪১তম বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়ে ইতালি ও ভ্যাটিক্যান সিটি থেকে দেশে ফেরার পর ১৯ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ভাষার মাসে বাহান্নোর ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পোপ ফ্রান্সিসের বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট অবসানে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে ক্যাথলিক ধর্মগুরুকে আহবান জানিয়েছেন তিনি।
আগামী বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে হবে বলে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে- বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ইতালি সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন ও সাফল্যের কথা সম্মেলনে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া পল্লী উন্নয়নে স্থানীয় সরকারের ভূমিকার কথা বিশ্ব খাদ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালককে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বের ৬ জেলার ২৫ উপজেলার গ্রামীণ পিছিয়ে পড়া মানুষের অবকাঠামো ও বাজার উন্নয়নে ৯২ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই করার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের অষ্টম ওয়েজবোর্ড সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালিক পক্ষ প্রতিনিধি পাঠাতে দেরি করায় ওয়েজ বোর্ড গঠনে দেরি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কেউ কোনো কিছু না করলে অপপ্রয়োগ হবে কেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক। আর তার রায়টা তো আর আমি দেইনি। রায় দিয়েছেন কোর্ট।
শেখ হাসিনা বলেন, চালের দাম বাড়ানোয় মিডিয়ারও একটু অবদান আছে। ব্যবসায়ীরা যখন চালের দাম বাড়ায়, তখন আপনারা যারা বলেন, তাতে ব্যবসায়ীরা বলেন, আরেকটু বাড়িয়ে নিই।
চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে গণভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই প্রশ্নপত্র ফাঁস নতুন বিষয় নয়, যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। এটা নিয়ে খোঁচা-খুঁচি করার কিছুই নেই। এটি নতুন কিছু না। এটি ঠেকাতে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। এই প্রযুক্তি কখনও কখনও বাজেভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এই প্রশ্ন যদি পরীক্ষার আগে কেউ ফাঁস করে তাহলে কি করার আছে। প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে ২০ মিনিট বা এক ঘণ্টা আগে, এতো ট্যালেন্ট কোন ছাত্র যে এই সময়ের মধ্যে পড়ে মুখস্ত করে লিখবে। বারবার আমার মনে এমন প্রশ্ন জাগে।
এসময় সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী আর সচিব গিয়ে তো প্রশ্নফাঁস করেনি, তাদের কেন সরে যেতে হবে, যারা করেছে তাদের ধরিয়ে দেন, ব্যবস্থা নেব। আপনাদের তো সেখানে অনেক সোর্স আছে, ধরিয়ে দিন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।