স্কুলছাত্রীর সাহসিকতায় ধরা পড়লো অপহরণকারীরা
প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:০৮
চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর সাহসিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অপহরণ চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে চার ছাত্রী। চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ে লিমা আক্তার নামের ওই ছাত্রী নিজে আহত হলেও বিপদ থেকে বাঁচিয়েছে সহপাঠীদের। পুলিশ আটক করেছে এক নারীসহ তিন অপহরণকারীকে।
৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত লিমা সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বড়িশ্বল গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে। লিমা বাসুদেব ইউনিয়নের ঘাটিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
আহত শিক্ষার্থীর পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে সহপাঠীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় লিমা। তার সঙ্গে যোগ দেয় একই গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী শাকিলা আক্তার, তৃতীয় শ্রেণির শান্তা আক্তার ও জান্নাত আক্তার। কিছু দূর যাওয়ার পর এক নারীসহ তিন অপহরণকারী এই চার শিশুকে জোর করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেয়। তারা শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের দিকে যাচ্ছিল।
আখাউড়া-সুলতানপুর সড়কের ঘাটিয়ারা এলাকায় পৌঁছালে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লিমা লাফ দেয়। বিষয়টি দেখে স্থানীয় লোকজন ওই অটোরিকশাসহ তিন অপহরণকারীকে আটক করে বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়।
পরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে দেওয়া হয়। তখন লিমা অসুস্থ হয়ে পড়লে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। খবর পেয়ে পুলিশ সদর উপজেলার রাধিকা এলাকার অপহরণকারী হিরন মিয়া (২০), অটোচালক শরীফ খান (২২) ও নরসিংসারের তামান্না আক্তার (২২)কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক বলেন, জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে।
সদর থানার ওসি নবীর হোসেন বলেন, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে এখনো মামলা হয়নি।