‘পর্যটনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়বে’
প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:৩৫
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পর্যটন শিল্প অন্যতম ক্ষেত্র যেখানে একসঙ্গে কাজ করার বড় সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। মুসলিম উম্মার জনগণের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিপুল সুযোগ ও ক্ষেত্র আমাদের সামনে রয়েছে।
৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) ভুক্ত দেশগুলোর পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রীদের দশম সম্মেলনের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই সম্মেলন হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়বে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে এই সম্মেলন ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে এই খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, জ্ঞান হস্তান্তর, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে হবে।’
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ তার দায়িত্ব পালনকালে ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ তৈরিতে দৃষ্টান্তমূলক কিছু অর্জন করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করে এই সম্মেলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে উদ্বাস্তু সমস্যা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। মিয়ানমার থেকে অত্যাচার নির্যাতনে বিতাড়িত হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা শুধু মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু এ সমস্যা মিয়ানমারের। এটা তাদেরই সমাধান করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের জন্য যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিভিন্ন মুসলিম দেশের সঙ্গে ভাতৃত্ব স্থাপন, ন্যায়বিচার ও একাগ্রতা স্থাপন করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।
সম্মেলনে উপস্থিত বিদেশি অতিথিদের প্রতি আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে দেখার মতো অনেক কিছু আছে। আমাদের আছে কক্সবাজার, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, আছে সুন্দরবন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিলেটের চা বাগান, চট্টগ্রামের পাহাড় পর্বতসহ অনেক কিছু। আপনারা ঢাকায় এসেছেন এসব উপভোগ করবেন। আপনাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য সব ব্যবস্থা করা আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পর্যটকরা এ দেশে এসে যেন ভালোভাবে যাতায়াত করতে পার সেজন্য পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন নদ-নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পর্যটনের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন বলে ১৯৭২ সালে পর্যটন করপোরেশন স্থাপন করে গেছেন।
আইসিটিএম'র ১০ম সম্মেলনের নতুন চেয়ারম্যান বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রাতমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও ফারুক খান এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম ফারুক।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এতে বাংলাদেশে স্থাপিত ইসলামিক নিদর্শন নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
২০১৫ সালের ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে অনুষ্ঠিত হয় ওআইসি’র সদস্য দেশগুলোর পর্যটনমন্ত্রীদের নবম সম্মেলন। সেই সময় সর্বসম্মতভাবে দশম সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) এই সম্মেলন শেষ হবে।