স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা, আসামী পলাতক
প্রকাশ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২২:২৯
প্রতিবেশী ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী মোনালিসা মুনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাংলাবাজার আমবাগান এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে দুবাই প্রবাসী সাঈদ। কিন্তু মেয়ের বয়স অল্প হওয়ায় সাঈদের প্রস্তাবে রাজি হননি মুনার বাবা মা। পরে সাঈদ পাশের মহল্লার ইভা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। মুনার পরিবার হয়তো ভেবেছিল সাঈদের দৃষ্টি থেকে মেয়ে বেঁচে গেছে। কিন্তু তা হয়নি। কিশোরী মুনাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়েছে ঘাতক সাঈদ।
মুনার পরিবার ও বাড়ির ভাড়াটিয়াদের বরাত থেকে জানা যায়, ২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) মুনার বাবা শাহীন বেপারী ও মা মরিয়ম বেগম নরসিংদীর মাধবদী মুনার নানাবাড়ি এলাকায় যান। তখন বাড়িতে মুনা ও তার ছোট ভাই শাহেদ হাসান (৯) ছিল। সেদিন সন্ধ্যায় মুনার বাড়িতে আসে সাঈদ। এসময় মুনার ছোট ভাই শাহেদ বাইরে খেলছিল।
ভাড়াটিয়া রবতন বেগম জানান, ঘরে ঢোকার সময় খালি বাসায় সাঈদ কেন এসেছে এমন প্রশ্ন করায় সাঈদ তাকে শাসিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে। পরে সে মুনার ঘরে যায় এবং মুনাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে ভাড়াটিয়ারা মুনাকে খুঁজতে ঘরে এসে তার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে মুনার বাবা মা হাসপাতালে ছুটে আসেন।
মুনার পরিবার ও ভাড়াটিয়াদের দাবি, মুনাকে হত্যার পর দেয়ালে নাম লিখে আত্মগোপনে থেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে সাঈদ।
তবে পুলিশ বলছে, এখনও সাঈদ দেশ ছেড়ে পালাতে পারেনি। আর যদি দেশ ছেড়ে পালিয়েও যায় তাহলে তাকে বিদেশ থেকে আনার ব্যবস্থা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি কামাল উদ্দিন জানান, স্কুলছাত্রী মোনালিসা মুনার হত্যার পরই ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ খুনিকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্যের উদঘাটন ও খুনি সাঈদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত মোনালিসা মুনার বাবা শাহিন বেপারী বাদী হয়ে সাঈদকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।