সাতক্ষীরায় গর্ভবতী নববধূর অনশন
প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৬, ১৬:০৩
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার নোয়াকাটি গ্রামে স্বামী ও সংসার ফিরে পেতে শ্বশুর বজলু সরদারের বাড়িতে অনশন করছে এক নববধূ। গত ১২ জুলাই থেকে স্বামীর বারান্দায় দিন কাটাচ্ছে মেয়েটি। এদিকে প্রতারক স্বামী হাসান পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কলারোয়া থানার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের আজিবর সরদারের ছেলে শহীদ সরদারের সঙ্গে পাটকেলঘাটা থানার নোয়াকাটি গ্রামের ৪ মাহমুদ সরদারের মেয়ে স্মৃতির বিয়ে হয়। গত ৬ মাস আগে স্বামী শহীদের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে স্মৃতি বাবার বাড়িতে ফিরে আসে। তারপর থেকে প্রতিবেশী বজলু সরদারের ছেলে হাসান (২৪) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কের কারণে স্মৃতির গর্ভবতী হয়ে পড়ে।
নববূধ স্মৃতি জানায়, গর্ভের সন্তানের কথা প্রেমিক হাসানকে জানালে সে স্বামী শহীদকে ডিভোর্স দিতে বলে। তার কথা মত ডিভোর্স পাঠিয়ে দেই। গত ১২ জুলাই দুই লাখ টাকার কাবিনে শহীদ ও স্মৃতি রেজিষ্ট্রি করে বিয়ে করে। এরপর স্বামী হাসান ও তার বোন ডলি গর্ভের সন্তান নষ্ট করার কথা বলে। এ কথায় রাজি না হওয়ায় হাসান পালিয়ে যায়।
এদিকে, ১২ জুলাই থেকেই স্বামী সংসারে অধিকারের দাবিতে নববধূ স্মৃতি শ্বশুর বাড়ির বারান্দায় এক বিছানা ও বালিশ নিয়ে অনশন শুরু করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের এক সালিশি বৈঠকও হয়। বৈঠকের স্বামী হাসানকে একটি প্লাটিনা মোটরসাইকেল ও বরপক্ষের ৫০ জনকে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। যে অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করে স্মৃতির পরিবার।
অন্যদিকে, পূর্বের সিদ্ধান্ত বদল করে একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল, নগদ দুই লক্ষ টাকা ও ৫০ জন বরযাত্রীকে খাওয়ানোর নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর তা না হলে স্মৃতিকে ঘরে তুলে নিবে না বলে হাসানের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এ বিষয়ে হাসানের মা-বাবার বক্তব্য, আমরা এ বিয়ে মানি না। আমরা কখনই তাকে ঘরে তুলে নেব না।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে জেনেছি যে, বজলু সরদার তার ছেলে হাসানকে বলেছে নতুন ঘর করে ছেলের বউ নিয়ে সেখানে থাকার কথা নির্দেশ দিয়েছে।