‘ভারত আমাদের সহযোগিতা করবে’
প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৬, ১৯:২৬ | আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৬, ২৩:০০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী যে কার্যক্রম আমরা করব, তাঁরা আমাদের সহযোগিতা করবেন।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকেলে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেনাপোল ও পেট্রাপোল সমন্বিত চেকপোস্টের উদ্বোধন করেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।
সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন, ‘আপনি কখনো নিজেকে একা মনে করবেন না। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সব লড়াইয়ে পুরো ভারত আপনার সাথে আছে।’
এ সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন।
চেকপোস্টের উদ্বোধনের পর নরেন্দ্র মোদি গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর শেখ হাসিনার জঙ্গিবাদ বিরোধী সকল উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করে বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সব লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত এবং বাংলাদেশের জন্য যেকোনো সহযোগীতা করতে ভারত প্রস্তুত।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগনের শক্তি বড় শক্তি। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিরোধ করতে পারবো।’
ভারতের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে (বাংলাদেশে) ঘটনা ঘটিয়ে ওখানে (ভারত) গিয়ে পালাবে, ওখানে ঘটনা ঘটিয়ে এ পাড়ে এসে পালাবে এটা কিন্তু আর চলবে না। সে ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের মধ্যে সব সময় সহযোগিতা থাকবে কোনো দেশই সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিব না।’
প্রথমে বাংলায় বক্তব্য শুরু করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ থেকে আমাদের দুই দেশের মধ্যে আদান-প্রদান আরও সহজ হবে। আমরা আরও কাছাকাছি এলাম। এ শুভ অনুষ্ঠানে সকলকে জানাই অভিনন্দন।”
এরপর মোদী হিন্দিতে কথা শুরু করে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্য সমন্বিত চেকপোস্টের উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আজ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় দিন। পারস্পরিক আদান-প্রদানের নিরীখেও আজকের দিনটি বিশেষ তাৎপযপূর্ণ।”