শিশুধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা
প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:৪৫
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র পরিবারের ৭ বছরের শিশু জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে ধর্ষকের পরিবার ও স্থানীয়রা ঘটনার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
অন্যদিকে, শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হলেও মামলা না করার অজুহাতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ওই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসার কথা বলায় সময় দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের সোবাহানপুর এলাকায় ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার স্থানীয়ভাবে মীমাংসার আশ্বাস, টাকা দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা সর্বোপরি লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনাটি প্রকাশ করেনি শিশুটির হতদরিদ্র পরিবার। কিন্তু গত ১৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বাধ্য হয়ে তাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে। এরপরই শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা জানাজানি হয়।
শিশুটির মা জানান, সোবাহানপুর এলাকার আলি আহাম্মদের বাড়িতে যাওয়ার সময় একই এলাকার হাবিব খার ছেলে মো. হানিফ (১৮) শিশুটিকে জঙ্গলে নিয়ে যৌন নির্যাতন চালায়। ঘটনাটি হানিফের পরিবারকে জানানো হলে তারা বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করে সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে তারা বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু কোনো কিছুই হয়নি। এক পর্যায়ে শিশুটি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যান তারা।
ছোটমেরুং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাছির মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তবে মামলা না হওয়ায় কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। এছাড়া স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সামাজিক সালিসে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
অপরদিকে, মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রহমান কবির রতন এ ঘটনার কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। অভিযুক্ত হানিফের পরিবারের কাউকে খোঁজে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।