ধর্ষণের প্রতিশোধে ধর্ষককে খুন করে ৮ টুকরা
প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ০১:০৯
ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতেই ধর্ষককে কেটে ৮ টুকরা করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. সাইদুর রহমান।
২০ জানুয়ারি (শনিবার) এক সংবাদ সম্মেলনে কিছুদিন আগে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলায় হাত-পা ও মাথাবিহীন অজ্ঞাতপরিচয় যে লাশটি পাওয়া গিয়েছিল সে বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হয়। তদন্ত শেষে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সম্পূর্ণ তথ্য উঠে আসে। এরা হলো-মাকসুদা, সালাহ উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. সাইদুর রহমান বলেন, লাশটি সাভার উপজেলার কাইসারচর ভাকুর্তা এলাকার নিহত মো. মফিজুর রহমান (৪০) এর। লাশ পাওয়ার পর প্রথমেই আশেপাশের থানায় সাম্প্রতিক সময়ে কোন নিখোঁজের জিডি করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নেয়া হয়।
জানা যায়, সাভার থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এসময় আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়া হলেও হাত-পা ও মাথাবিহীন থাকায় সেসময় লাশটি শনাক্ত করতে পারেনি স্বজনরা। পরে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে লাশের পরিচয় পাওয়া যায়।
এরপর লাশটি যে এলাকায় পাওয়া যায় সেই সাভারের বেউতার আশেপাশে প্রথমে খোঁজ নেয় পুলিশ। সেখানে এলাকাবাসি জানায়, নিহত মফিজুর কবিরাজ হিসেবে মাঝে মাঝে স্থানীয় আল আমিনের স্ত্রী মাকসুদাকে চিকিৎসা দিতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে মাকসুদা জানায়, চিকিৎসার নামে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করতো ভন্ড কবিরাজ মফিজুর। তাই তাকে খুন করার জন্য স্থানীয় সালাউদ্দীন ও সাভারের নজরুলকে লাখটাকায় ভাড়া করা হয়। ঘটনার দিন ৩১ ডিসেম্বর রাতে মফিজুরকে খাবারের সাথে প্রথমে ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়। পরে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করার জন্য মাথাও হাত পা কেটে বিভিন্ন ডোবায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেয় সালাউদ্দিন। সেসময় বডিটা ভেসে উঠে যা পুলিশ পরবর্তীতে পায়।
হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও অটোরিকসা জব্দ করেছে পুলিশ। এখনো পর্যন্ত লাশের সবগুলো টুকরার হদিস করতে পারেনি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকার সহকারী পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার, ঢাকা দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ্ জামান, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের।