‘স্বাস্থ্যবান প্রজন্ম গড়তে প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম’
প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ০১:৫৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুস্থ ও সাস্থ্যবান প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। ‘প্রাণিসম্পদ সেবাসপ্তাহ ২০১৮’ উপলক্ষে ১৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ২০ জানুয়ারি (শনিবার) থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘প্রাণিসম্পদ সেবাসপ্তাহ ২০১৮’ পালন উপলক্ষে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। জনগণের সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করে একটি মেধাবী জাতি গঠনের মাধ্যমে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই এখন আমাদের লক্ষ্য।’
সুষম পুষ্টি নিশ্চিতকরণে প্রাণিজ আমিষের ভূমিকা অপরিহার্য এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ কর্মসংস্থান, সার্বিক বেকারত্ব হ্রাস, রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মিটিয়ে একটি সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘আমরা প্রাণিসম্পদ বিষয়ক গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছি’। মাঠ পর্যায়ে ক্ষুদ্র খামারি ও কৃষককে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি পালন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে ৬৩টি উপজেলায় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গবাদি পশু-পাখির সুষম খাদ্য নিশ্চিতকরণে মিনি পশুখাদ্য বিশ্লেষণ ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বাস্তবমুখী উদ্যোগের ফলে পোল্ট্রি খাত দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পখাতে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ খাতের ভূমিকা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের মোট জনগণের প্রায় ২০ শতাংশ প্রত্যক্ষ ও ৫০ শতাংশ পরোক্ষভাবে এ সেক্টরের সঙ্গে জড়িত। ২০১৬-২০১৭ সালে ৯২ দশমিক ৮৩ লাখ মেট্রিক টন দুগ্ধ, ৭১ দশমিক ৫৪ লাখ মেট্রিক টন মাংস ও ১৪৯৩ দশমিক ৩১ কোটি ডিম উৎপাদন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। এ প্রকল্পের সফলতার পেছনে প্রাণিসম্পদ সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
‘এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা সফল হয়েছি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রেও আমরা সাফল্য ধরে রাখতে চাই। এ জন্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ সেক্টরের কার্যক্রম আরো বেগবান করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব।’
সূত্র: বাসস