বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ
প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ০১:৪১
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক এরশাদ মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকেল তিনটার দিকে গ্রেপ্তারকৃত এরশাদকে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি পৌরশহরের চন্দগাতী মহল্লায়। সে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। এদিকে গতকালই ওই কলেজ ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও কলেজ ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া পৌরশহরের সাউদ পাড়া মহল্লার বাসিন্দা ও কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী এবং চন্দগাতী গ্রামের এরশাদ মিয়া স্থানীয় একটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে চাকরি করেন। একই স্থানে চাকরি করার সুবাদে বিবাহিত এরশাদ পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।
সম্পর্ক গড়ে তোলার পর প্রায়ই এরশাদ ওই ছাত্রীকে ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করত। এক পর্যায়ে গত ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর দুপুরে একই স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করার পর ছাত্রীটি এরশাদকে বিয়ের চাপ প্রয়োগ করলে সে টালবাহানা শুরু করে। ছাত্রীটি বিয়ের চাপ অব্যাহত রাখলে এরশাদ এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। এ সময় এরশাদকে না পেয়ে ওই ছাত্রী তার পরিবার ও এলাকার লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা তা আমলে নেননি।
এদিকে ১৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ওই ছাত্রী মোবাইল ফোনে এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ সময় এরশাদ ছাত্রীটিকে ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি বাজারে যেতে বলে এবং পুনরায় দৈহিক মিলনের প্রস্তাব দেয়। পরে ওই ছাত্রী কৌশলে এরশাদকে কেন্দুয়া পৌরশহরের সাউদপাড়া মহল্লায় তাদের বাসায় নিয়ে আসে। বাসায় এনে এরশাদকে বিয়ে করার কথা বললে সে তা অস্বীকার করে সটকে যাওয়ার চেষ্টা করে।
পরে রাতভর তাদের যুক্তি-তর্ক শেষে মতৈক্য না হওয়ায় এক পর্যায়ে পুলিশকে খবর দিলে কেন্দুয়া থানা পুলিশ এরশাদকে ১৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) ভোর রাতে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর মা ১৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটক এরশাদকে আদাললে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানার এসআই নোমান সাদেকিন জানান, এরশাদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ওই কলেজ ছাত্রীকেও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কাজও শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে কলেজ ছাত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্কের কথা এরশাদ স্বীকার করেছে।