‘আগামী বাজেটে বেসরকারি বিদ্যালয়ের এমপিও অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত’
প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, ২৩:৩২ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, ২৩:৩৪
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী বাজেটে বেসরকারি বিদ্যালয়ের মাসিক বেতন আদেশ (এমপিও) অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটি নীতির ভিত্তিতে এমপিওর অধীনে জাতীয়করণ এবং স্কুলগুলো নিয়ে আসছি। যখন আগামী বাজেট প্রণয়ন করা হবে, তখন এই নীতি বিবেচনা করে একটি তালিকা তৈরী করে এবং স্কুলগুলোর অবস্থা দেখে, আমরা সম্ভাব্য স্কুলের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
সংসদ নেতা বলেন, ‘বাজেটের অর্থ জনসাধারণের অর্থ এবং এটি অসম্মান দেখিয়ে দূরে ফেলে দেয়ার জন্য নয়। আমরা জনগণের কল্যাণে এই টাকা ব্যয় করতে চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রদের সংখ্যা, স্কুল ও শিক্ষার্থীদের গুণগতমান এবং শিক্ষকরা যেভাবে শিক্ষা প্রদান করছে, এই সব দিক বিবেচনা করে একটি নীতি অনুসরণ করে এমপিও’র অধীনে সরকার স্কুলগুলোকে জাতীয়করণ করছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী একটি উদাহারণ দিয়ে বলেন, রংপুরের পীরগঞ্জে একটি স্কুলের জাতীয়করণের বিষয়ে তাঁর এক আত্মীয়ের একটি প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর আত্মীয় যে স্কুলটি জাতীয়করণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার ছাত্র সংখ্যা ১৫০ জন।
তিনি বলেন, আমি আমার আত্মীয়কে বলেছিলাম কিভাবে জাতীয়করণ করতে পারি, যার ছাত্র সংখ্যা ১৫০ জন। আমি আমার আত্মীয় এবং সেই সংসদীয় আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হলেও তা করতে পারি না। যৌক্তিকতা থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আত্মীয় প্রস্তাব নিয়ে আসবে আর আমি করে দেবো, এত বড় অন্যায় আমি করবো না।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন জন বিভিন্ন দাবি নিয়ে আসে এবং সরকার তাদের আশ্বস্ত করছে। কিন্তু কাজটা করতে গেলে বাজেটে কত টাকা আছে তা দেখতে হবে, কোন স্কুল এমপিও পাওয়ার যোগ্য এবং ওইসব স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী কত রয়েছে তা জানতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার শুধু এমপিও’র অধীনেই স্কুলগুলোতে আনেনি উপরন্তু শিক্ষার বৈচিত্রায়ন এবং গুণগত মানোন্নয়নের জন্যও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত তাঁর সরকার শিক্ষার্থীদের মাঝে ২৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ২২ হাজার ৯০২ কপি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করেছে।
এই সময়ে শিক্ষকদের জন্য ১ কোটি ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষক নির্দেশিকা সরবরাহ করেছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৪ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার ৪৭৮ টাকা।
সূত্র: বাসস