সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হাইকোর্ট
প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৫৫
রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ কিংবা নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কারণে সংসদ সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া- সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে করা রিটে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
১৫ জানুয়ারি (সোমবার) বিচারপতি মইনুল ইসলাম ও আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ৭০ অনুচ্ছেদ প্রশ্নে রুল দিলেওবেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন।
আইনজীবীরা বলেছেন, এখন বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি এর জন্য একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন। সেই বেঞ্চে বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। অপরপক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই। প্রসঙ্গত, গেল বছর ১৭ এপ্রিল সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কারণে সংসদ সদস্য পদ শূন্য হওয়া সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্য নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তার সংসদ সদস্যপদ থাকবে না। এ অবস্থায় দল যদি কোনো ভুল সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা দেয় তার বিরুদ্ধে ভোট বা মতামত দেওয়ার সুযোগ সংসদ সদস্যদের নেই। তারা দলের নীতিনির্ধারক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন।
আপিল বিভাগ বলেছেন, ৭০ অনুচ্ছেদ বলবৎ থাকাবস্থায় বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে গেলে একজন বিচারককে দলীয় নীতিনির্ধারকের করুণা অনুযায়ী চলতে হবে। বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে গেলে তার প্রভাব বিচার বিভাগে পড়বে।