দেশেই স্মার্টকার্ড তৈরির উদ্যোগ
প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:৫৯
চুক্তি অনুযায়ী ৯ কোটি নাগরিকের হাতে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) তুলে দিতে পারেনি ফ্রান্সের কোম্পানি ‘অবার্থু’র টেকনোলজিস’। যে কারণে চুক্তির মেয়াদ না বাড়িয়ে দেশেই স্মার্টকার্ড তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সেনাবাহিনী পরিচালিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি-বিএমটিএফ দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড প্রস্তুত করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ স্মার্টকার্ড তৈরিতে যেতে পারবে বিএমটিএফ। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে শিগগিরই চুক্তি হবে। ফলে সব নাগরিককে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই স্মার্টকার্ড পাবে। হয়তো সে বছর জুনের মধ্যেই নতুন দেড় কোটি ভোটারকেও স্মার্টকার্ড দেওয়া শুরু করা যাবে। তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৯ কোটি এবং ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে বাকি ভোটারদের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ স্মার্টকার্ড রপ্তানি করবে একদিন। অন্যান্য দেশও আমাদের কাছ থেকে তৈরি করে নেবে।
সূত্র জানায়, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ফ্রান্সের ওবার্থু’র টেকনোলজিসের (ওটি) সঙ্গে ১০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে (৮১৬ কোটি টাকার) চুক্তি করে ইসি।
২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ৯ কোটি দেওয়ার কথা থাকলেও সময় বৃদ্ধি করার পরও ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা পর্যায়ে মাত্র এক কোটি ৯৮ লাখ (১২ দশমিক ২০ শতাংশ) কার্ড পৌঁছাতে পেরেছে। জুন পর্যন্ত তারা ঢাকায় ফাঁকা কার্ড পাঠিয়েছে ছয় কোটি ৬৩ লাখ ছয় হাজারটি। এর মধ্যে পারসোনালাইজেশন হয়েছে এক কোটি ২৪ লাখ। ব্ল্যাংক কার্ড দিতে পারেনি দুই কোটি ৩৬ লাখ চার হাজার। এ পর্যন্ত তারা বিল নিয়েছিল ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
গত বছরের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরদিন থেকে রাজধানী ঢাকা ও বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের মাঝে কার্ড বিতরণ শুরু হয়। বর্তমানে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি মোট ২৭টি জেলা সদরেও কার্ড বিতরণ চলছে। উল্লেখ্য, ইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১০ কোটি ৪০ লাখের মতো ভোটার রয়েছে।