২০১৭ সালে বেড়েছে ধর্ষণ, ৫২৩৫ নারী ও কন্যা নির্যাতন
প্রকাশ | ০৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:১৯
২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত উদ্বেগজনকহারে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধিসহ মোট ৫২৩৫ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের উপর ভিত্তি করে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
মহিলা পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৭ সালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১২৫১ টি তন্মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ২২৪ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৫৮ জনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৮০ জনকে, শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছে ৯৩ জন, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৬৪ জন।
এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ৪০ জন তন্মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ০২ জনের। অগ্নিদগ্ধ হয়েছে ৯১ জন, তন্মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৪৩ টি। নারী ও শিশু পাচার করা হয়েছে ৯৫ জন, তন্মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে ৬০ জনকে।
৭১৩ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৫৯জনকে।
যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩৮৯ জন নারী এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ২০৮ জনকে। গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৫ জন, তন্মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ১২জনকে এবং নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ০৫ জন।
উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ২৬৪ জনকে, তন্মধ্যে উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৩৪১ জন। ফতোয়ার শিকার হয়েছে ৪৫জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারনে ৪২৩ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে এবং আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ১৮ জন এবং ২৫৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
বাল্য বিয়ের সংক্রন্ত ঘটনা ঘটেছে ৪৪৪ টি, তারমধ্যে ১৯৭ টি বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রতিরোধ করা হয়েছে ২৪৭ টি। পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩২ জন। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ৩২৪ জনকে। এছাড়া অন্যান্যরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
এছাড়া ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোট ৪২৭ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১০৭ টি তন্মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৩ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২ জনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১১ জনকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪ জন। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৩ জন।
এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২ জন তান্মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধের শিকার ৮ জন তন্মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ২৩ টি।
বিভিন্ন কারণে ৪২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৪ জনকে।
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২১ জন, তন্মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৯ জনকে। উত্ত্যক্তের শিকার ১৭ জন, তন্মধ্যে উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ৪ জন। অন্যান্য কারনে ৪৯ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে এবং ২৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ৬০ টি ব্যাল্যবিবাহের চেষ্টা প্রতিরোধ করা হয়েছে এবং বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে ৪ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫ জন। বে-আইনি ফতোয়ার ঘটনা ঘটেছে ৩টি। এছাড়া অন্যান্যরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।