'সরকার ব্লগার হত্যাকাণ্ডকে গুরুত্ব দেয়নি'
প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৬, ০০:১৫ | আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৬, ০২:৩১
সরকারের পক্ষ থেকে ব্লগার হত্যাকাণ্ডকে গুরুত্ব না দেয়ায় গুলশানে হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
মঙ্গলবার গুলশান, শোলাকিয়া, সৌদি আরবের মদিনা, ফ্রান্সের নিস শহরে সন্ত্রাসী হামলা এবং বিশ্বব্যাপী সংঘটিত জঙ্গি হামলার ঘটনায় সংসদে নিন্দা প্রস্তাবের উপর সাধারণ আলোচনা করতে গিয়ে সরকারের এই সমালোচনা করেন তিনি।
সংসদে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের আনা নিন্দা প্রস্তাবের আলোচনায় রওশন বলেন, “যখন ব্লগার মারা হল তখন তো আমরা গোড়া খুঁজতে যাইনি, গুরুত্ব দিইনি। আমরা ডেপথে চিন্তা করি না। সবকিছু ভাসাভাসা দেখি।”
রওশন আরও বলেন, “একদিনে এ ঘটনা ঘটেনি। অনেকদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা মিলে এই ঘটনা ঘটেছে। জনগণকে কী আমরা শান্তি দিতে পেরেছি?”
কর্মসংস্থান না থাকা লোকেরাই তরুণদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে দাবি করেন রওশন বলেন, “ছয় লাখ লোকের কর্মসংস্থান করেছেন। এগুলো সরকারি দলের লোকেরা পেয়েছে। জনগণ তো পায়নি। ফ্লাইওভার না করে ইন্ডাস্ট্রি করলে ভালো হত, এত লোক ঢাকায় আসত না। মেট্রোরেল দিয়ে আমরা কী করব, যদি পেটে ভাত না থাকে?"
জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান রওশন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী পড়াশোনা হচ্ছে খোঁজ নিতে হবে। কেউ তো যায় না সেখানে খোঁজ নিতে। একটা শিক্ষিত ছেলে জাস্ট একটা টাইম বোমা!”
জঙ্গি হামলা মোকাবেলায় পুলিশের আধুনিকায়নের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশকে বদলাতে হবে। মডার্ন উয়েপন দিতে হবে। সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। ট্রেইনিং দিতে হবে।”
পাশাপাশি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, “মন্ত্রীদের প্রোটেকশেনর জন্য পুলিশ দেওয়া হয়। এমপিদের জন্য কী দেওয়া হয়? আমার বাড়িতে ৬ জন পুলিশ। দুজন করে আসে। প্রটেকশন, আল্লাহ ভরসা”।
গুলশানে হামলার পর বাংলাদেশের উপর থেকে বিদেশিদের আস্থা চলে গেছে দাবি করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, “অনেক ফরেনার চলে গেছে। ২০টি ফ্যামিলি, আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে চলে গেছে। বাংলাদেশ থেকে চলে গেছে।”
বিদেশিদের আস্থা ফেরাতে ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ে তোলার রাজনৈতিক প্রস্তাব সরকারকে দেন তিনি।