তালাক দিয়েও রেহাই নেই!
প্রকাশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:৪৬ | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৫
নওগাঁ সদর উপজেলার চকরামচন্দ্র মধ্যপাড়া গ্রামের তালাক হওয়া স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ রশিদা বেগম (৩৮) বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। থানায় অভিযোগ করেও কোন ফল হয়নি।
উল্টো তালাক দেওয়া স্বামী মোকছেদ আলী (৪৫) দম্ভ করে সাংবাদিককে বলেন, রশিদাকে মেরেছি। আরো মারবো, আপনারা যা করার করেন।
মোকছেদ আলী ও তার লোকজনের অব্যাহত হুমকি-ধামকির মুখে ওই গৃহবধূ নিজের বসত বাড়ি ছেড়ে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ২৪ ডিসেম্বর (রবিবার) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে তার করুণ কাহিনী বর্ণনা করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন।
উপজেলার চকরামচন্দ্র মধ্যপাড়া গ্রামের অছিম উদ্দিনের মেয়ে রশিদা বেগম জানান, প্রায় ২২ বছর আগে একই গ্রামের মৃত জালাল সরদারের ছেলে মোকছেদ আলীর সাথে বাবা-মা ধুমধাম করেই তার বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকেই মোকছেদ তার উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে তার পিতা রশিদা ও মোকছেদের নামে ৩ শতক জমি কিনে বাড়ি করে দেয়। পরে ওই সম্পত্তি পুরোটি মোখছেদের নামে লিখে না দেওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। একপর্যায় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত এক বছর আগে মোকছেদকে তালাক দেন রশিদা বেগম। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মোকছেদ।
গত ২৯ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে মোকছেদ ও তার লোকজন রশিদার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তার দুই হাত ভেঙ্গে দেয়। এর কিছুদিন পর গত ৯ ডিসেম্বর মোকছেদ আলীকে আসামি করে থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করেন রশিদা। কিন্তু থানা পুলিশ এখনও তাকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ ব্যাপারে মোকছেদের সাথে কথা হলে তিনি দম্ভ করে বলেন, রশিদাকে মেরেছি। পারলে আরো মারবো, আপনারা যা করার করেন। আমার কিছুই হবে না।
এদিকে এই মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সোয়ায়বুর রহমান বলেন, আসামিরা ইতোমধ্যে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। মামলার এমসি পেলেই পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।