এক পরিবারের চার নারীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশ | ২২ ডিসেম্বর ২০১৭, ২৩:৫৪

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামে চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে বিলম্ব এবং ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে গড়িমসির অভিযোগে কর্ণফুলী থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে।

নারী উন্নয়ন ফোরাম নামের একটি সংগঠন ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করে ওই দাবি জানিয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনায় চার সন্দেহভাজনের মধ্যে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কর্ণফুলী থানার পুলিশ। তারা হলেন মো. সুমন আবু ও মো. ফারুকী ওরফে মাহমুদ। বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।

গত ১২ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শাহমীরপুর গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পাঁচদিন পর মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। তারপর গত বুধবার দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুল মোস্তফা জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেবেন না তারা।

ঘটনার পরদিনই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে কর্ণফুলী থানায় যায় নির্যাতিত পরিবারটি। কিন্তু পুলিশ সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার অজুহাতে মামলা নিতে গড়িমসি করে বলে জানান তারা। তবে শুরুতে ভুল বোঝাবুঝি হলেও এখন আসামিদের গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে দাবি ওসি সৈয়দুল মোস্তফার। নির্যাতনের শিকার নারীদের মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ছয় মাসের এক অন্তঃসত্ত্বাসহ প্রবাসী তিন ছেলের বৌকে নিয়ে থাকতেন তাদের বৃদ্ধা শ্বাশুড়ি। বাড়িতে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে উঁচু সীমানাপ্রাচীরের ওপর কাঁটাতারের বেড়াও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই শেষরক্ষা হয়নি। গত ১২ ডিসেম্বর রাতে পেছনের জানালার লোহার গ্রিল কেটে বাড়িতে ঢুকে পড়ে চার যুবক। অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ধর্ষণ করে তিন গৃহবধূসহ বেড়াতে আসা এক নারীকেও।

ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচতে বাড়িতে রাখা সব টাকা-পয়সা, সোনার গয়না দিয়ে দিয়েছিলেন বলেও জানান ওই তিন নারীর শ্বাশুড়ি। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। নির্যাতন শেষে সবকিছু নিয়ে তারা চলে যায়।

ঘটনার আটদিনের মাথায় গ্রেপ্তার হয়েছে দুজন। বাকিদের পরিচয় এখন নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তাই বিচার নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি নির্যাতিত এই পরিবারটির।