চট্টগ্রামে এক বাড়িতে ৪ নারীকে ধর্ষণ
প্রকাশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:১০
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এক বাড়ির চার নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। তারা হলো মোহাম্মদ সুমন আবু (২৩) ও কালু।
গত ১২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাতে এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার চার নারীর তিনজন জা। অন্য নারী তাদের আত্মীয়।
ঘটনার পাঁচ দিন পর মামলা করার বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলামের অভিযোগ, মামলা করতে সময় লাগার পেছনে পুলিশের অসহযোগিতা ছিল প্রধান কারণ।
ভুক্তভোগী ওই পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ঘটনার পরদিন গত ১৭ ডিসেম্বর (রবিবার) সকালে পরিবারের সদস্যরা কর্ণফুলী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাদের পটিয়া থানায় পাঠায়। পটিয়া থানার পুলিশ তাদের আবার কর্ণফুলী থানায় পাঠায়। পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে পুলিশ সক্রিয় হয়। মামলা নেওয়ার পর এ ঘটনায় এ পর্যন্ত দুজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। রবিবার রাতে কর্ণফুলী থানার পুলিশ সুমনকে এবং সোমবার কালুকে গ্রেপ্তার করে।
১৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সকালে ধর্ষণের শিকার চার নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম বলেন, ১২ ডিসেম্বর রাত প্রায় একটার দিকে বাড়ির একটি কক্ষের জানলার গ্রিল কেটে চার ডাকাত ভেতরে প্রবেশ করে। তখন ঘুমিয়ে ছিলেন বৃদ্ধা মা, তার তিন ছেলের স্ত্রী ও বেড়াতে আসা এক আত্মীয়া। ঘরে ঢুকে ডাকাতেরা প্রথমে ১৫ ভরি স্বর্ণ, টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুট করে। বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য দেখতে না পেয়ে চার নারীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে ডাকাতেরা।
দিদারুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীদের এলাকার সন্দেহভাজন কয়েকজন তরুণের ছবি দেখানো হয়। এর মধ্যে দুজনকে তারা শনাক্ত করেন। ওই দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মামলা নিতে দেরি বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুল মোস্তফা বলেন, প্রথমে তারা ধর্ষণের কথা বলেননি। তারা গ্রামের নামও ভুল বলেছিলেন। সেটি পটিয়া থানায় পড়ায় তাদের সেখানে পাঠানো হয়েছিল। পরে ২-১ দিন পর এসে তারা ঠিক নাম বলেন। তাই কর্ণফুলী থানায় অভিযোগ নেওয়া হয়েছে।