শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে বৈবাহিক তথ্য, হাইকোর্টের রুল
প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:২১ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ২৩:২৪
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বৈবাহিক অবস্থা কেন জানতে চাওয়া হবে এ নিয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ শিক্ষার্থীর বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাওয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং এ বিষয়ে একটি অর্থপূর্ণ নীতিমালা কেন করা হবে না সে বিষয়ে রুল জারি করে।
আইনজীবী ফাহরিয়া ফেরদৌস ও নাহিদ সুলতানা জেনি গত ১৪ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মেয়েটি এখন কী করবে?’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক, আইনুন নাহার সিদ্দিকা ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব, আইন সচিব, নারী ও শিশু সচিব, মহিলা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও নার্সিং অধিদফতরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সংবাদে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৬ জুন দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী পরবর্তীতে এক সন্তানের জননী হন। ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় ধর্ষক যুবকই ঐ সন্তানের পিতা। সম্প্রতি এইচএসসি পাস করে ঐ শিক্ষার্থী নার্সিং কলেজের ফরম পূরণ করতে গেলে সন্তান থাকায় ওই শিক্ষার্থীকে বিবাহিতের কাতারে ফেলা হয়। বিবাহিত হিসেবে নিবন্ধিত না হলে নার্সিং কলেজ ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না বলে জানানো হয়।
বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনার পর আদালত এ রুল জারির পাশাপাশি মেয়েটিকে অবিলম্বে নার্সিং কলেজে ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।