ধর্ষণে ব্যর্থ হয়েই সুবর্ণাকে হত্যা
প্রকাশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৬:৪৬
ধর্ষণে ব্যর্থ হওয়ায় এবং বাবাকে বলে দেওয়ার হুমকি দেওয়ায় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বেলাশ্বর এলাকার সুবর্ণা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে আসামি ওমর ফারুক (১৯)।
১১ ডিসেম্বর (সোমবার) আদালতে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বেলাশ্বর এলাকার কোরবান আলীর মেয়ে সুবর্ণার (৭) লাশ থানগাঁও সেতুসংলগ্ন ধানিজমি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিন চান্দিনা থানায় মামলা করেন সুবর্ণার মা খাদিজা আক্তার। মামলায় সুবর্ণার সৎমা লাভলী আক্তার ও তার ছোট ভাই দেবীদ্বার উপজেলার বাগুর গ্রামে সালাউদ্দিন সরকারের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। ৮ ডিসেম্বর ভোরে এজাহারনামায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে পুলিশ এ ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন ওমর ফারুককে গত ১০ ডিসেম্বর (রবিবার) রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার বদরপুর মেহার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, ১১ ডিসেম্বর (সোমবার) দুপুর দুইটায় কুমিল্লার আমলি আদালতের হাকিম বিপ্লব দেবনাথের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ওমর ফারুক।
জবানবন্দিতে ওমর ফারুক জানায়, ৬ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় সুবর্ণাদের বাড়ির পাশে প্রাইভেট কার পরিষ্কার করছিল ওমর ফারুক। এরপর সুবর্ণাকে ঘোরানোর কথা বলে গাড়িতে তোলে সে। পরে সে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। এরপর সুবর্ণা বাবার কাছে বলে দেবে বলে হুমকি দিলে সে তাকে আরএনআর ব্রিকস ফিল্ডের কাছে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ইটভাটার পশ্চিম পাশে সেতুর পশ্চিমে মাস্টারবাড়ির খালের পাড়ে ফেলে দেয়। তখন বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ওমর ফারুক তার আরেকটি মুঠোফোন নম্বর থেকে সুবর্ণার বাবা কোরবান আলীর কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
জবানবন্দির পর আদালতের বিচারকের নির্দেশে ওমর ফারুককে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আসামি ওমর ফারুকের (১৯) বাড়ি চান্দিনা পৌরসভার বেলাশ্বর এলাকায়।