শাম্মী হত্যা মামলা : ময়নাতদন্তকারীর ব্যাখ্যা বাতিল
প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:০৬ | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:১৫
রাজধানীর কল্যাণপুরে গৃহবধূ শাম্মী হত্যা মামলার তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তার ব্যাখ্যা বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (পিবিআই) নির্দেশ দেওয়া হয়।
৬ ডিসেম্বর (বুধবার) এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এছাড়া ঢামেক হাসপাতালের প্রিন্সিপালকে এ হত্যা মামলার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে তিন সদস্যের বোর্ড (প্রফেসর পর্যায়ের) গঠন করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে ঢামেকের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ ও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নওশের আলীর পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।
এছাড়া উপস্থিত আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, শাম্মী হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে স্থানান্তরের বিষয়ে একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হয়। এরপর এটি আমরা আদালতের দৃষ্টিতে আনি। এরপর সুয়োমোটো রুল জারি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নওশের তার ব্যাখ্যা দেন। এরপর শাম্মী হত্যা মামলায় ঢামেকের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আদালতে ব্যাখ্যা দেন। কিন্তু আদালত তার বক্তব্য বাতিল করে দিয়েছেন। এ নিয়ে আমরাও আমাদের বক্তব্য আদালতে জানিয়েছি।’
আদালত উভয় পক্ষের কথা শুনে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম। এছাড়া ঢামেক প্রিন্সিপালকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে শাম্মীর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সম্পর্কে তদন্ত করতেও বলা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর এসআই নওশের আলীকে তদন্তে গাফিলতির ব্যাখ্যা দিতে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর ২১ নভেম্বর তিনি আদালতে হাজির হয়ে নিজ ব্যাখ্যা দাখিল করেন। ওইদিন মামলাটির ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে তার ব্যাখ্যা দিতে ৬ ডিসেম্বর (বুধবার) তলব করেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে শাম্মী হত্যা মামলার ঢামেকের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ ব্যাখ্যা দেন। কিন্তু আদালত তার ব্যাখ্যা বাতিল করেন।