পরকীয়ার জেরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীসহ ২ জনের ফাঁসি
প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:১৫
পরকীয়ার জেরে স্ত্রী শামীমা আক্তার হ্যাপি হত্যায় নিহতের স্বামী মুকুল হোসেন মোল্লা ও পরকীয়া প্রেমিকা লাভলী আক্তার নীলুফাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান আসামি মুকুল হোসেনের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। অপর আসামি নীলুফা মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
দণ্ডপ্রাপ্ত মুকুল হোসেন ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার ময়েনদিয়া শেখপাড়া গ্রামের আব্দুল ওয়াজেদ মোল্লার ছেলে।
মামলার অভিযোগ, ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পারিবাবিকভাবে মুকুলের সাথে শামীমার বিয়ে হয়। বিয়ের আগে মুকুল সাভারে গেন্ডায় বাসা ভাড়া করে থাকত। ওই বাসায় তার একটি প্যাকেজিং ফ্যাক্টরী ছিলো। আর শামীমা বিয়ের আগে রাজধানীর ডেমরায় বেসরকারি মানবিক সাহায্য সংস্থায় হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর সে সাভার শাখায় চলে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে ২০১২ সালের ৭ জানুয়ারি শামীমা নিখোঁজ হন। পরদিন তার স্বামী মুকুল সাভার থানায় একটি জিডি করেন। পত্রিকায়ও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তারপরও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে মুকুলের গতিবিধি শামীমার ভাই সাইফুল ইসলামের সন্দেহজনক হলে সে সাভার থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে তার ফ্যাক্টরীতে কর্মরত দুই সন্তানের জননী লাভলী আক্তার নীলুফার সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। মুকুল, নীলুফা এবং আরও এক নারী মিলে ৭ জানুয়ারি শামীমাকে হত্যা করে দেহকে তিন খণ্ডন করে। এরপর তার দেহ তাদের বাসা হতে ১২ কিলোমিটার দূরে কেরানীগঞ্জের ইটভাটা ব্রিজের কাছে ফেলে আসে।
এদিকে ইটভাটা থেকে শামীমার শুধু মস্তক পাওয়ার পর ৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ থানার এসআই গোলাম সারোয়ার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই থানার এসআই রজব আলী ২০১২ সালের ৩১ আগষ্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।