‘শিগগিরই এই জাতি অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে’

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৩৮

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এত দূরদর্শী ও এত দিক নির্দেশনা বিশ্বের আর কোনো ভাষণে নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেসকোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় ২৫ নভেম্বর (শনিবার) সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত সমাবেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আর যেন রাজকার-আলবদর-আলশামস, খুনি ও ইতিহাস বিকৃতিকারীরা আর যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। আগামীর বাংলাদেশ হবে অর্থনৈতিক মুক্তির ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বে এখন আমরা উন্নয়নের রোল মডেল। শিগগিরই এই জাতি অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে। ২০২১ সালে এ দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধিশালী দেশ।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, এই ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলনের কথা বলেছিলেন, গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি জয়বাংলা বলে তাঁর ভাষণ শেষ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষকে রাজনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন, অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার পথে হাঁটা শুরু করেছিলেন। দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু তখনই স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ নামটাও বঙ্গবন্ধুর দেওয়া। তিনি বলেন, সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যাই করা হয়নি, তাঁর আদর্শ নষ্ট করে এ দেশে রাজাকার-খুনিদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শাসনতন্ত্র রক্ষাসহ জাতির জীবনের প্রত্যেকটি অর্জনে আওয়ামী লীগ জড়িত। বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে জাতির পিতা দিয়েছিলেন ৬ দফা। তিনি এ ছয় দফা দিয়েই বসে ছিলেন না, তিনি এটা নিয়ে সারা বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ফলে তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দেয়, তাকে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাঙালিরা তার প্রতিবাদ করেছে। বাংলার ছাত্রসমাজ, বাংলার জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে বারবার।’

সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছিল লোকে লোকারণ্য। দুপুর থেকে উদ্যানে আসতে থাকেন রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, সরকারি চাকুরে, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষেরা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর থেকেই চলে নানা আয়োজন। নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি উপভোগ করেন আগত অতিথিরা।