সমঝোতার পরদিন আরও ১৩২০ রোহিঙ্গা
প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৩৬
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতার চুক্তি হওয়ার পরদিনই নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফে ঢুকেছে আরও রোহিঙ্গা।
২৪ নভেম্বর (শুক্রবার) নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফে আরো ১ হাজার ৩২০ জন রোহিঙ্গা ঢুকেছে।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে টেকনাফে সর্বোচ্চসংখ্যক রোহিঙ্গা প্রবেশের ঘটনা এটি। এদিকে টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন শিবিরের রোহিঙ্গা নেতারা মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হওয়া নিয়ে খুশি হলেও এর বাস্তবায়ন নিয়ে তারা তেমন আশাবাদী নন। মিয়ানমারকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা বোকামি হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বৈঠক হয়। এরপরই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা অনুযায়ী আগামী দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সমঝোতা সই হওয়ার দিনও ভেলা ও নৌকায় করে নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফে এসেছিল ১ হাজার ১১২ রোহিঙ্গা।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির জানান, ‘প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গতকাল পালিয়ে আসা ৩৬৩টি পরিবারের ১ হাজার ৩২০ রোহিঙ্গাকে শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নতুন আসা রোহিঙ্গাদের প্রথমে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ত্রাণকেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ দিয়ে তাদের উপজেলার নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠান তাঁরা। এক সপ্তাহের মধ্যে টেকনাফে গতকাল সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা এসেছে।’
অবশ্য উখিয়া সীমান্ত দিয়ে ২৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রোহিঙ্গা প্রবেশ করেনি বলে জানান কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ইকবাল আহমেদ। এর আগে ১৯ নভেম্বর উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে ৬৪৭ জন রোহিঙ্গা এসেছিল। উখিয়া সীমান্ত দিয়ে এখন রোহিঙ্গা আসা প্রায় বন্ধ বলে জানান তিনি।
উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন বলেন, ‘অং সান সু চি শুরু থেকে বলে আসছিলেন রাখাইনে কোনো নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার কারণ খুঁজে দেখবেন তিনি। চাপে পড়ে এখন সমঝোতা করেছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘মিয়ানমার চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। তারা না চাইলে কোনো রোহিঙ্গা নিজ দেশে ফিরতে পারবে না।’