রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তি
প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৩৯
নির্যাতনের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে অবশেষে একটি চুক্তিতে সই করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।
২৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় দুপুরে বহুল প্রতীক্ষিত এ চুক্তি সই হলেও এতে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে আগামী দুই মাসের মধ্যেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হবে। সংবাদ সংস্থা ইউএনবির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এরআগে মিয়ানমার সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে অং সান সু চির কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবেশী দুই দেশের প্রতিনিধির মধ্যে ৪৫ মিনিটের এ বৈঠকের পরপরই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে এ চুক্তি সই হয়। নিজ নিজ দেশের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী ও সু চির কার্যালয়ের মন্ত্রী কিয়াও টিন্ট সুয়ে।
গত ২৫ আগস্ট থেকে সহিংসতার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের কক্সবাজারে অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন এতিম শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এই ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদি উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মিয়ানমার ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি পরিহার করার পাশাপাশি এই জনগোষ্ঠীকে নিজেদের দেশের নাগরিক বা স্বতন্ত্র নৃগোষ্ঠী বলেও স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়।
এর মধ্যে ২২ নভেম্বর (বুধবার) প্রথমবারের মতো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংসতায় জাতি নির্মূলের উপাদান পাওয়া গেছে।