'বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা নিতেই লাখো বাঙালি এসেছিলেন সেদিন'
প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:১৯
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ মানুষ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা নিতে এসেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৮ নভেম্বর (শনিবার) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে’র স্বীকৃতি পাওয়ায় নাগরিক কমিটির ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ সকলে একত্রিত হয়েছি কেন? আপনারা জানেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ স্বাধীন। এই স্বাধীনতা ৯ মাসের যুদ্ধের ভেতর দিয়ে লাখো মানুষের বিনিময়ে পেয়েছি। মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে এর অর্জন করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তখন ৫৬ শতাংশ মানুষ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। কিন্তু বাঙালির কোনো অধিকার ছিলো না। পশ্চিম পাকিস্তানিরা সম্পূর্ণ শোষণ করেছে। তারা আমাদের মাতৃভাষার অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সবাইকে উদ্ধুদ্ধ করে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা কখনও চায়নি বাঙালিরা শাসনভার হাতে নিক। ডিসেম্বরের ৭ তারিখ ইলেকশন হয়। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি গেলো কিন্তু তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। বঙ্গবন্ধুর কথায় এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।
৭ই মার্চের ভাষণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা সেদিন ভাষণ দিয়েছিলেন লাখো মানুষ এসেছিল এখানে (রেসকোর্স ময়দানে)। বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে এখানে এসেছিল তারা। জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাগ্রত করেছিলেন বাঙালি জাতিকে। ৭ই মার্চ সেদিন তার নির্দেশনা নিতে লাখ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই, ইউনেস্কোকে, যারা স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমার মনে আছে এখানে ওই সময় ভাষণ দেওয়া হয়েছিল তখন পাকিস্তানিরা সব সময় আমাদের দাবিয়ে রাখতো। বাংলা বাদ দিয়ে উর্দুকে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। সেই সংগ্রামের পথ ধরে ৬ দফা এসেছিল। বাঙালিরা ক্ষমতায় যাবে তারা মেনে নিতে পারেনি। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষ এসেছিল। বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে একটি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য জাগ্রত করেছিলেন। স্বতন্ত্র্য স্বত্তার জন্য জাগিয়ে তুলেছিলেন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের আরও ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে গতমাসে ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে নেয় ইউনেস্কো।