এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ
প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:২১
জিয়া এতিমখানা অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ৬ নভেম্বর (সোমবার) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
জরুরি অবস্থার সময়ে দুদকের দায়ের করা এ মামলা বর্তমানে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে বিচারাধীন। বর্তমানে মামলাটি খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যায়ে রয়েছে।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, যে আদালতে মামলার বিচার চলছে, আপিল বিভাগের আদেশের ফলে সেখানেই তা চলবে।
জিয়া এতিমখানা মামলার আদালত পরিবর্তন চেয়ে গত ৬ আগস্ট হাই কোর্টে আাবেদনটি করেন খালেদার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া।
সেদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী দলের সদস্য মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেছিলেন, ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে আদালত পরিবর্তনের আবেদন করা হয়েছে। সে আবেদনে সাড়া না দিয়ে গত ২০ আগস্ট বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাই কোর্ট বেঞ্চ নিষ্পত্তি করে আদেশ দেয়।
আর্থাৎ মামলাটি যে আদালতে বিচারাধীন সে আদালতে রেখেই কিছু পর্যবেক্ষণসহ আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়। রবিবার (৫ নভেম্বর) দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে সে আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়। আর আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) আপিল বিভাগ তা খারিজ করে আদেশ দেয়।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।