এতিমখানা দুর্নীতি: খালেদার আবেদনে আদেশ কাল
প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০১৭, ২০:১৮
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন নিষ্পত্তি করে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আপিল বিভাগ ৬ নভেম্বর (সোমবার) বিষয়টি আদেশের জন্য রেখেছে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার আদালত পরিবর্তন চেয়ে চতুর্থবারের মত আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। সে আবেদনে সাড়া না দিয়ে গত ২০ আগস্ট বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাই কোর্ট বেঞ্চ তা নিষ্পত্তি করে আদেশ দেয়। আর্থাৎ মামলাটি যে আদালতে বিচারাধীন সে আদালতে রেখেই কিছু পর্যবেক্ষণসহ আবেদনটির নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়।
৫ নভেম্বর (রবিবার) দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে সে আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হলে আদালত সোমবার আদেশের জন্য রাখে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
জিয়া এতিমখানা মামলার আদালত পরিবর্তন চেয়ে গত ৬ আগস্ট হাই কোর্টে আাবেদনটি করেন খালেদার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া।
সেদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী দলের সদস্য মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেছিলেন, ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে আদালত পরিবর্তনের আবেদন করা হয়েছে। জরুরি অবস্থার সময়ে দুদকের দায়ের করা এ মামলা বর্তমানে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে বিচারাধীন। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার মতো এ মামলারও শুনানি চলছে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে।
খালেদা জিয়ার আবেদনে এর আগেও তিনবার এ মামলার বিচারক বদলে দিয়েছিল হাই কোর্ট। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে, যাকে বিচার বিলম্বিত করার চেষ্টা হিসেবে দেখছে দুদক।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে দুদক ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
তার পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।