অপহরণের পাঁচ দিন পর কলেজছাত্রী উদ্ধার
প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:১৭
বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সাভারের আশুলিয়া আউকপাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণ করা কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহৃত ওই ছাত্রী সাভারের একটি কলেজে স্নাতক প্রথমে বর্ষে পড়ছেন।
অপহরণের পাঁচ দিন পর ৩ নভেম্বর (শুক্রবার) ভোরে রাজধানীর সদরঘাট এলাকার একটি হোটেলের সামনে থেকে আশুলিয়া থানা পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। তবে অপহরণের সাথে যুক্ত বখাটে লেমন মিয়া ও তার চাচা শফিক মৃধাসহ কোন আসামিকে আটক করা যায় নি।
পুলিশের ভাষ্য, বর্তমানে ওই কলেজছাত্রী কিছুটা অসুস্থ। তাঁকে সাভারে একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে।
কলেজছাত্রীর এক চাচা জানান, আশুলিয়ার কুমকুমারী এলাকার একটি হত্যা মামলায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি আতাউর রহমানের ছেলে লেমন মিয়া (২২) তার ভাতিজিকে অপহরণ করেছে। কলেজে যাওয়ার পথে লেমন প্রায়ই তার ভাতিজিকে উত্ত্যক্ত করত।
ওই ব্যক্তির অভিযোগ, দুদিন আগে লেমন তাদের বাড়িতে এসে তার ভাতিজিকে প্রস্তাব দেয়। তবে তারা ওই প্রস্তাবে রাজি হননি। এর পর থেকেই লেমন তার ভাতিজিকে তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩০ অক্টোবর (সোমবার) বিকেলে আউকপাড়া এলাকা থেকে ঝুট ব্যবসায়ী চাচা শফিক মৃধার সহযোগিতায় লেমন ওই কলেজছাত্রীকে প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, চাচা শফিক মৃধার সহযোগিতায় লেমন এর আগেও কয়েকজন কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তার ভয়ে অনেকে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। কেউ কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিত লেমন।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম জানান, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ৩০ অক্টোবর (সোমবার) বিকেলে আশুলিয়ার আউকপাড়া থেকে প্রকাশ্যে অপহরণ করা হয় সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীকে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় বলা হয়, কুমকুমারী এলাকার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আতাউর রহমানের বখাটে ছেলে লেমন মিয়া অপর পাঁচ সহযোগীকে নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে।
এসআই আরো জানান, অপহরণের বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হলে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। ভোরে রাজধানীর সদরঘাট থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় করা মামলার আসামিদের কেউই এখনো আটক হয়নি।