বগুড়ায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি
প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০১৭, ২৩:৪৭
বগুড়ার গাবতলীর তেলিহাটায় ধর্ষণের শিকার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী (১২) বিচারিক হাকিমের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। ১ নভেম্বর (বুধবার) বিকালে জেলার দ্বিতীয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২২ ধারায় তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়।
এদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামি ফারুক হোসেনকে একই আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মো. কামরুজ্জামান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে এ ঘটনায় জড়িত মিল্লাত হোসেন ও অন্যদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১ নভেম্বর (বুধবার) দুপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা হিন্দুপাড়ায় গত ২৮ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়ের জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে চার দিনের মেলা শুরু হয়। গত ২৯ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ওই ছাত্রী তার বাবা-মার সঙ্গে মেলায় ঘুরতে যায়। কেনাকাটার এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে পান আনতে পাশের দোকানে পাঠান তার মা। এ সময় বখাটে মিল্লাত হোসেন আইসক্রিম খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাকে পাশের পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়। এরপর সে ফোন করে কাচ্চু ও সালামকে ডেকে এনে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা গাবতলী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় গজারিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মিল্লাত হোসেন, তার বন্ধু আমতলী পোড়াপাড়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে ফারুক হোসেন, তেলিহাটা নতুনপাড়ার মজনু মিয়ার ছেলে কাচ্চু মিয়া (২৮) ও একই গ্রামের আবদুস সালামকে (৩০)। পরে পুলিশ ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
দ্বিতীয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও এসআই শাহ্ আলম জানান, ১ নভেম্বর (বুধবার) বিকালে ভিকটিম আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুব জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ছাত্রীকে শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।