খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা, বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০১৭, ২৩:৩৮
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ফেরার পথে ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পাশে বাসে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১ নভেম্বর (বুধবার) রাতভর অভিযান চালিয়ে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
এর আগের রাতে এসআই নুরুদ্দিন মডেল থানায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩৫-৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
ওই মামলায় জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন খন্দকার ও জেলা ছাত্রদলের একাংশের ছাত্রদল সভাপতি নাইমউল্লা চৌধুরী পরাগ, ওপর অংশের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিনসহ ছাত্রদল-যুবদলের ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান ফেনী মডেল থানার ওসি রাশেদ খান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ১ নভেম্বর (বুধবার) চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকা সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ।
ফেনী সদর মডেল থানায় ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ মামলা করেন ফেনী সদর কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজিবুল ইসলাম। সদর মডেল থানার ওসি রাশেদ খান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শনিবার খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফেনী শহরে প্রবেশের চার কিলোমিটার আগে মোহাম্মদ আলী বাজারে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়ি এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ নানান সংস্থার সাংবাদিক বহনকারী অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর করা হয়। হামলায় সাংবাদিকসহ অর্ধশত বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন।
বিকাল পৌনে ৫টার দিকে মোহাম্মদ আলী বাজারের ফতেহপুরে ১৫-২০ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে উঠে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর আটকে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা হামলা চালায়।
এ হামলায় একাত্তর, ডিবিসি, চ্যানেল আই, বৈশাখী টেলিভিশন, একুশে টিভি, বাংলাভিশন, এটিএন নিউজের গাড়ি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ছাড়া প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের একটি মাইক্রোবাসও হামলার মুখে পড়ে।
একাত্তর টিভির আলোকচিত্রী আলম হোসেন, সিনিয়র প্রতিবেদন শফিক আহমেদ গুরুতর আহত হয়েছেন। কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, যায়যায়দিন, গাজী টিভি, আমাদের সময়, নিউএজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও হামলার শিকার হন। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী মারধরের শিকার হন।