জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা চলতে বাধা নেই
প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০১৭, ১২:৩৭
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা রাজধানীর বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে চলতে বাধা নেই বলে এক আদেশে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত, মামলার নয়জন সাক্ষীকে পুনর্জেরা ও দুই সাক্ষীকে নতুন করে জেরার বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি শেষে ৩০ অক্টোবর (সোমবার) আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ ওই আবেদনের শুনানি করে ৩০ অক্টোবর (সোমবার) ‘নো অর্ডার’ দেয়।
আপিল বিভাগ গত বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে সোমবার তা আদেশের জন্য রেখেছিল।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন জাকির হোসেন ভূঁইয়া। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দুই সাক্ষীর জেরা ও নয় সাক্ষীর পুনঃজেরার অনুমতি চেয়ে খলেদা জিয়ার করা একটি আবেদন গত ২২ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে দেয় হাই কোর্ট। হাই কোর্টের ওই আদেশের পরে মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
সোমবার আপিল বিভাগের আদেশের পর খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এ আবেদনে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছিল। আদালত ‘নো অর্ডার’ দিয়েছে। ফলে মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা কোনো নেই।
তবে হাই কোর্ট যে আদেশ দিয়েছিল, তার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি রবিবার প্রকাশ হওয়ায় খালেদা জিয়া চাইলে ওই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে পারে বলে জানান তিনি।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই খালেদার বিরুদ্ধে রমনা থানায় এই মামলা করে দুদক।
২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়ে। এতে তারেক রহমান ছাড়াও আসামি করা হয় সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের পর শুরু হয় মামলাটির বিচার। বর্তমানে মামলাটি বকশীবাজারে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি পর্যায়ে আছে।