‘একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না’
প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৩২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বস্তির দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর আমাদের লক্ষ্য। কাজেই বস্তিবাসীর জন্য ভাড়াভিত্তিক আবাসিক ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। আমরা প্রত্যেকটা মানুষের কথা চিন্তা করি, প্রত্যেকের জন্য একটা জায়গা করে দিতে চাই, সুন্দর ব্যবস্থা করে দিতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নগরীর মীরপুরে বস্তিবাসীদের জন্য প্রথমবারের মতো ফ্লাট নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কালে এ কথা বলেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা হাসিনা বলেন, একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, সেটাই আমাদের নীতি। এটা জাতির পিতার নির্দেশ।
সবার জন্য পরিকল্পিত বাসস্থান গড়ে তোলার লক্ষ্যে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে বস্তিবাসীদের জন্য ১০ হাজার ফ্লাট নির্মাণের পাশাপাশি ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে সরকারি কর্মচারী এবং সাধারণ লোকদের জন্য ২০২টি আবাসিক ফ্লাট নির্মাণ করা হচ্ছে।
জাতীয় গৃহনির্মাণ কর্তৃপক্ষ (এনএইচএ) নিজস্ব অর্থায়নে মিরপুর-১১ তে ১০ একর জমির ওপর বস্তিবাসীদের জন্য ১০ হাজার ফ্লাট নির্মাণ করবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত পদক্ষেপের ধারণা এবং জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা ২০১৬ অনুযায়ী এ উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২ একর জমির উপর ৫টি ১৪ তলা ভবন নির্মাণ করে ৫৩৩টি ফ্লাট করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮ একর জমির ওপর ৮০টি ১৪ তলা ভবন নির্মাণ করে ৯ হাজার ৪৬৭টি ফ্লাট তৈরি করা হবে।
প্রকল্পের প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১১১ কোটি টাকা। অপরদিকে এনএইচএ ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে ৩৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ দশমিক শূন্য ৭ একর জমিতে ২৫৩টি ফ্লাট নির্মাণ করবে। এরমধ্যে ২০২টি ফ্লাট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ লোকদের কাছে বিক্রি করা হবে। বাকি ৫১টি ফ্লাট এনএইচএ’র কাছে থাকবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শহিদুল্লাহ খন্দকার পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে দুইটি প্রকল্পের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহের প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।