কলেজছাত্রীকে কোপানো সেই বখাটে ইমন গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ১০:৪৬
নেত্রকোনায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় কলেজছাত্রী জান্নাতুল আক্তারকে (১৭) কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় সেই বখাটে ইমনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইমন কেন্দুয়া উপজেলার গগডা গ্রামের মহর উদ্দিনের ছেলে।
১৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাত ১০টার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) সোহান সরকারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ঘটনার ৮ ঘণ্টা পর তাকে জেলার মোহনগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নেত্রকোনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার পরই ইমন কেন্দুয়া থেকে মোহনগঞ্জ পালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টায় মোহনগঞ্জ রেলস্টেশনে অবস্থান করছিলেন তিনি। প্রযুক্তির মাধ্যমে ইমনের অবস্থান জানতে পেরে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোহনগঞ্জ থেকে ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেত্রকোনা সদরে আনা হয়। তার বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় মামলা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার পাথাইরকান্দি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের মেয়ে জান্নাতুল কেন্দুয়ার পারভীন সিরাজ মহিলা কলেজে ভর্তি হয়। উপজেলার পৌর এলাকায় শান্তিনগর মহল্লার একটি ভাড়া বাসায় থেকে তিনি কলেজে পড়াশোনা করত। একই এলাকার ইমন নামের এক যুবক তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ইমন গগডা (ভুঁইয়াপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা হলেও গত দুদিন ধরে শান্তিনগর এলাকায় তার বোনের স্বামী সোহাগের বাসায় অবস্থান করছিল। সেখান থেকে মঙ্গলবার বিকেলে কৌশলে জান্নাতুলকে বাসা থেকে ডেকে নেয় এবং প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটে ইমন প্রথমে জান্নাতুলের মাথার চুল কেটে নেয় এবং পরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
স্থানীয়রা আহত ওই ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) সোহান সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ ইমনের ব্যবহৃত চাপাতি, ওই ছাত্রীর কাটা চুল, তার ছেঁড়া জামা ও রক্তাক্ত জুতা জব্দ করে।