লাঞ্ছনার শিকার ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেত্রী!
প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৬, ১৯:৩৯
রংপুরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুমনা আক্তার লিলিকে (২৭) শ্লীলতাহানি ও শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে শ্রমিকলীগ নেতা মহিউল আহম্মেদ মহির (৫০) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন ঘটনার শিকার নেত্রী।
মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে ওই নারী তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কের ধারে আমের বাজারে আম কিনতে যান। ওই নারীর ভাইও তারাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের নেতা। আমের বাজারটা অনেকটা সড়কের ওপরেই। এ সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন মহিউল আহমেদ। তিনি ওই ভাই-বোনের পেছনে এসে হর্ন বাজাতে থাকেন। একপর্যায়ে মহিউল গাড়ি থেকে নেমে ভাইবোনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটি হয় এবং মহিউল যুবলীগের ওই নেতাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। ভাইকে বাঁচাতে বোন এগিয়ে এলে মহিউল তাঁকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাঁর চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। কিন্তু এর আগেই সটকে পড়েন মহিউল।
এদিকে, ঘটনাটি স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা কর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা রাতেই কোতোয়ালি থানায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা থানার ফটকে দাঁড়িয়ে অবিলম্বে মহিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আতাউর রহমান থানায় গিয়ে বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীদের শান্ত করেন।
মামলার বাদী ওই নারী মোবাইলে জানান, ‘রাস্তার পাশে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজানোর শব্দ শুনতে পাইনি। এ কারণে তাঁর (মহিউল) কাছে দুঃখপ্রকাশও করেছি। কিন্তু এরপরও আমাকে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই।’
এদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে লিলি বাদী হয়ে মহিকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। তবে বিষয়টি সংবাদকর্মীরা জানতে পারেন বুধবার।
তবে মহিউল আহমেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, লাঞ্ছনার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।