‘কিশোরী ধর্ষণ’ দেড় লাখ টাকায় মীমাংসা
প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ২১:১৪
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাকসিঁড়ি গ্রামে একটি ‘ধর্ষণের ঘটনা’ অর্থের বিনিময়ে মীমাংসা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) দিনমজুরের কিশোরী মেয়ে ধর্ষণের শিকার হলে তার পরদিন ৭ অক্টোবর (শনিবার) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্যরা টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করে দেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ৭ অক্টোবর (শনিবার) রাত ৮টার দিকে বাকসিঁড়ি গ্রামের আরমান আলীর ছেলে আবু বক্কর প্রতিবেশী দিনমজুরের ঘরে প্রবেশ করে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরী ও আবু বক্করকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। পরে স্থানীয়রা রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সুরেণকে খবর দেওয়া হয়।
চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, মেয়ের ভবিষ্যতর কথা চিন্তা করে ৭ অক্টোবর (শনিবার) দুপুরে সালিশ বৈঠকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ওই টাকা মেয়ের বাবাকে দেওয়া হবে।
কিশোরীর বাবা বলেন, আমি চেয়েছিলাম আইনের আশ্রয় নিতে; কিন্তু চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ প্রভাবশালী লোকজন আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা করতে দেয়নি। সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন।
ঠাকুরগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, মেয়ের পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।