নওগাঁয় স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৩৮
নওগাঁর পোরশা উপজেলায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৬) গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) চারজনের বিরুদ্ধে পোরশা থানায় মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন পত্নীতলা উপজেলার রবিউল ইসলাম (২০), হাবিবুর রহমান (১৯) ও জায়েদুল ইসলাম (৩০) এবং পোরশা উপজেলার মো. শিমুল (৩০)। এদের মধ্যে রবিউল ও হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর দুই আসামি পলাতক।
এ বিষয়ে পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাব্বেরুল ইসলাম জানান, শিমুল নামে এক যুবকের সঙ্গে পোরশার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীর পূর্বপরিচয় ছিল। গত ৪ অক্টোবর (বুধবার) সকালে মুঠোফোনে আলাপচারিতার পর শিমুল ওই ছাত্রীকে নিয়ে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন। পরে শিমুল তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই দিন রাত ১১টার দিকে পত্নীতলা উপজেলার দিঘিপাড়া গ্রামে নিয়ে গ্রামের পাশে একটি গভীর নলকূপের ছাদে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে শিমুলের আরো তিন বন্ধু মিলে ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ভোরে ওই মেয়েটিকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে পোরশা উপজেলার শিশা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। পথে রাস্তায় পোরশা থানার টহল পুলিশ রিকশাটিকে থামতে বলে। এ সময় আসামি জায়েদুল ও শিমুল দৌড়ে পালিয়ে যায়। আর ওই স্কুলছাত্রীসহ রবিউল ও হাবিবুর নামে দুই তরুণকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে খবর দেওয়া হলে বৃহস্পতিবার ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রবিউল ও হাবিবুরসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পোরশা থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পোরশা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুই তরুণকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ধর্ষণের শিকার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম।