পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানায় শিশু আইন লঙ্ঘন

প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৩৯

অনলাইন ডেস্ক

কন্যাশিশু অধিকার সুরক্ষায় আইন থাকলেও এখনও পর্যন্ত অনেকেই এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। সরকার কন্যা শিশুদের শিক্ষা বৃত্তি, বিনামূল্যে বই এমনকি তাদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসেবাও দিচ্ছে। তারপরেও কম নয় অধিকার বঞ্চিত শিশুর সংখ্যা। এমনই অধিকার বঞ্চিত পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ১৩ বছরের কন্যা শিশু মারিয়া আক্তার।

মারিয়া আক্তার পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার উত্তর লালুয়া ইউসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। গত ৫ মার্চ একই ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে একটি শিশু অপহরণ ঘটনার সাক্ষী হিসেবে মারিয়াকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে মারিয়ার পরিবারের লোকজন তাকে আনতে থানায় গেলে দুই লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। পরবর্তীতে টাকা না দেওয়ায় পুলিশ ওই অপহরণ চেষ্টা মামলায় আসামি করে মারিয়াকে।

পরবর্তীতে মারিয়ার বয়স বাড়িয়ে বলে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত মারিয়ার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।

গত ২৮ জুলাই মারিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। আদালতে শিশু প্রমাণিত হবার পরও প্রায় দেড় মাস থাকতে হয় জেল হাজতে। ১১ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী অতিরিক্ত দায়রা জজ ও শিশু আদালতের বিচারক জামিন দেন মারিয়াকে।

মারিয়া বলে, আমি ছোট মানুষ, একটা মিথ্যা ঘটনায় জেল খাটব কখনো চিন্তাও করি নাই। আমার লেখাপড়ায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এই হয়রানি আর সহ্য হয় না। মুক্তি চাই। 

শিশু আইন অনুযায়ী, কোনো শিশুর বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে তার বিদ্যালয়ের নথি ও জন্ম সনদ ঘেঁটে নিশ্চিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্য আসামিদের মতো তাকে আটক করা যাবে না। তার সঙ্গে আচরণ করতে হবে সহনশীল। তাকে অন্য আসামিদের সঙ্গে কারাগারে রাখা যাবে না। তার বিচার হবে শিশু আদালতে।

মামলার তদন্তকারী এসআই জিয়াউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। 

কলাপাড়া থানার ওসি জি এম শাহনেওয়াজ ঘুষ দাবির বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমরা যখন যেটা যেভাবে পেয়েছি, সেটাই করেছি। কোনো পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করিনি। আর মারিয়াকে তার স্বামীসহ আটক করেছি আমরা। এজাহারে ভুল হতে পারে।