রেহানার পাসপোর্ট দিয়ে সৌদি আরব ঘুরে এলেন মাজেদা!
প্রকাশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:৪৪
একজনের নামের পাসপোর্টে অন্যজন বিদেশে গেছেন। ওই পাসপোর্টে আবার বিদেশ ঘুরেছেন। তবে দেশে ফেরার সময় সমস্যা দেখা দেয়। ইমিগ্রেশন বিভাগের সিস্টেম থেকেই আগমনী যাত্রীর চেহারা আর পাসপোর্টের তথ্যে গড়মিল হলেই তবে জালিয়াতি বেরিয়ে আসে। এ নিয়ে কঠোর গোপনীয়তার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়েই আন্তঃসংস্থাগুলোর মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছে।
তবে ভিন্ন ব্যক্তির পাসপোর্ট নিয়ে নিরাপত্তার প্রথম ধাপ পেরিয়ে প্রথমে বিমানবন্দরে প্রবেশ, বোর্ডিং কার্ড সংগ্রহ, ইমিগ্রেশন, চেকিং, শেষ ধাপে বোর্ডিং ব্রিজে চূড়ান্ত যাচাই শেষে উড়োজাহাজে আরোহন-যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট নিয়ে নিরাপত্তার সব ধাপ পেরিয়ে অত্যাধুনিক সিস্টেমের ফাঁক গলিয়ে বহির্গামী যাত্রী কি করেই বা বিদেশ গেলেন, সে প্রশ্নই উঠেছে জোরেশোরে।
বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বহীনতা, পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষের অনিয়মসহ সামগ্রিকভাবে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনা আর নিরাপত্তাহীনতার চিত্রটিই উঠে এসেছে ভুয়া পাসপোর্টে মাজেদা নামে এক নারীর দেশে ফেরার মাধ্যমে।
সূত্রমতে, মাদারীপুরের রেহানা বেগমের পাসপোর্ট নিয়ে রাজশাহীর মাজেদা বেগম ২০১৫ সালের ১ আগস্ট বিমান বন্দরে আসেন। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র (নং- SA-I-2015-0274123) নিয়ে সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে (এসভি-৮০৫) ‘রেহানা’ পরিচয়েই জেদ্দা যান মাজেদা। চলতি মাসের ২২ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফেরেন।
বহির্গমনের সময় তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেছিলেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলার রশিদ।
তিনি পাসপোর্টের সঙ্গে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র দেখে ইমিগ্রেশন সিল দিয়েছেন। তবে যাত্রীর সঙ্গে পাসপোর্টের ছবি মিলিয়ে দেখেননি। যা দায়িত্বে অবহেলার চিত্র।
রেহানা বেগমের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তিনি কালকিনি থানার খাউখান গ্রামের মোন্নাত সিকদারের মেয়ে ও দেলোয়ার শেখের স্ত্রী। ২০১৫ সালের ৫ মে রেহানা বেগমের নামে প্রথম পাসপোর্টটি (নং- বিএফ-০৭৫৯৩৪৩) ইস্যু করা হয়। যার মেয়াদোর্ত্তীণের তারিখ ২০২০ সালের ২৫ মে।